ভূত

লোক কথা —
আগেকার দিনে-ভূত নাকি থাকত
বনে-জঙ্গলে, গাছে—
খন খনিয়ে বলত কথা
মানুষ এলেই কাছে।
একবার তো—
তিন কুঁড়ি ভূত ভূতের খুঁড়ি
থাকত মাইতির পাড়ার
পোড়ো বাড়া তেঁতুল গাছে,
রাত দুপরে ঠাকুমা
মুড়গী বেঁধে মাছ আনলে
দাঁড়ায় দুটো মাছ,
দাঁড়ায় দুটোই মাছ বলে
আসত ছুটে কাছে।
ঠাকুমা খুব দুঃসাহসী,
বলত— আয়, আয়, আয়!
ঘরের কাছে আয়।
যেই আসত ঘরের কাছে—
দিচ্ছি মাছ-হাত পাত
বলেই-ঝাঁপা পোতো মাছে।
একদিন তো রাত্রে গিয়ে ঠাকুমা বলে,
মুড়গী ঝাঁপিয়ে বড় সাথে,
আমি বলি-মোটেই যাব না,
পোড়ো বাড়া গাছে ভূত আছে,
রেঁধে-রেঁধে আগুন ঠাকুমা,
বললে-রেঁধে খাবি না,
স্কুলে যাবি না।
ভয়ে ভয়ে গেলাম পিছু পিছু,
শ্যামানন্দ ধারে-গিয়ে দেখি,
মরার কাঠে জ্বলছে আলো,
চারিদিক নিঝুম কালো।
ঠাকুমা বলে-পেঁচি গুলো
ভাত হাঁধছে,
ওদের ছেলে-পিলে গুলো
ঘুমোচ্ছে তেঁতুল গাছে।
চোখ বুজে ঠাকুমাকে ধরে
গেলাম পিছু পিছু,
মাছ বেঁধে যেই এলেছি,
অমনি উঠল ঝড়,
মাছের পুটুনি নিয়ে আমি
দৌড়ে দিলাম ঘর।
নিঃশ্বাসেতে ছুটে এসে
পুটুনি ফেলে পড়লাম বসে,
বললাম – আর যদি যাই ঠাকুমা,
পেঁচি গুলো-আছ থাকবে না।
“ঠাকুমা বলে-ভয়ের মধ্যে ভূত থাকে
কখনও ধরবে না দুঃসাহসীক।”
আগেকার দিনে-ভূত নাকি থাকত
বনে-জঙ্গলে, গাছে—
খন খনিয়ে বলত কথা
মানুষ এলেই কাছে।
একবার তো—
তিন কুঁড়ি ভূত ভূতের খুঁড়ি
থাকত মাইতির পাড়ার
পোড়ো বাড়া তেঁতুল গাছে,
রাত দুপরে ঠাকুমা
মুড়গী বেঁধে মাছ আনলে
দাঁড়ায় দুটো মাছ,
দাঁড়ায় দুটোই মাছ বলে
আসত ছুটে কাছে।
ঠাকুমা খুব দুঃসাহসী,
বলত— আয়, আয়, আয়!
ঘরের কাছে আয়।
যেই আসত ঘরের কাছে—
দিচ্ছি মাছ-হাত পাত
বলেই-ঝাঁপা পোতো মাছে।
একদিন তো রাত্রে গিয়ে ঠাকুমা বলে,
মুড়গী ঝাঁপিয়ে বড় সাথে,
আমি বলি-মোটেই যাব না,
পোড়ো বাড়া গাছে ভূত আছে,
রেঁধে-রেঁধে আগুন ঠাকুমা,
বললে-রেঁধে খাবি না,
স্কুলে যাবি না।
ভয়ে ভয়ে গেলাম পিছু পিছু,
শ্যামানন্দ ধারে-গিয়ে দেখি,
মরার কাঠে জ্বলছে আলো,
চারিদিক নিঝুম কালো।
ঠাকুমা বলে-পেঁচি গুলো
ভাত হাঁধছে,
ওদের ছেলে-পিলে গুলো
ঘুমোচ্ছে তেঁতুল গাছে।
চোখ বুজে ঠাকুমাকে ধরে
গেলাম পিছু পিছু,
মাছ বেঁধে যেই এলেছি,
অমনি উঠল ঝড়,
মাছের পুটুনি নিয়ে আমি
দৌড়ে দিলাম ঘর।
নিঃশ্বাসেতে ছুটে এসে
পুটুনি ফেলে পড়লাম বসে,
বললাম – আর যদি যাই ঠাকুমা,
পেঁচি গুলো-আছ থাকবে না।
“ঠাকুমা বলে-ভয়ের মধ্যে ভূত থাকে
কখনও ধরবে না দুঃসাহসীক।”
22