সেকালের বর্ষা

গাছের পাতায় রোদ ঝিক মিক,
সোনালী রোদে দিন,
রিম ঝিম ঝিম বৃষ্টি ধারা
থামত না সাত দিন।
দই কাদা মাখামাখি স্কুলে যাওয়া,
মেঘ সাজাসাজি পুকুরে নাওয়া,
রুপনারায়ণের ইলিশ খিঁচুড়ি খাওয়া
আর কখনো যাবে কি পাওয়া?
ভোর বেলায় মুগরী ঝাড়া,
চিংড়ি মাছের টবকা বড়া,
ট্যাংরা, পুঁটি, শিঙি. মাগুর. ভেটকি
স্বাদের ভাগ যায় কি ছাড়া?
শালুক কলমী শুননী লতা,
জড়িয়ে জড়িয়ে বলত কথা,
ঝিলে বিলে পদ্ম বনে
ফুল তোলা বন্ধুদের সনে।
তালের বড়া গাবড়া পিঠে
বাসমতী পায়েস বড়ই মিঠে,
সরু চাকলি আশকে পুলি
ভরে নিতাম ঠাকুমার ঝুলি।
কুচো চিংড়ি মোচার ঘন্ট
শুক্তো ছেঁচকি কালন্দি ধানের মণ্ড।
ডালপুরি আলুর দম,
খেতে মজা! গরমা গরম।
কলা গাছের ভেলায় বসে,
কচি ধান গাছ তুলতাম কষে।
রোদ-বৃষ্টি বজ্র মাথায়
কৃষকেরা ক্ষুধার অন্ন যোগায়।
তাদেরই ঘরে ঘরে হা অন্ন,!
কাদের ভাবনা তাদের জন্য?
“মানব-জীবন যন্ত্র-দানব,
ভোগে-সুখে মনের মরণ।”
41

কুসুম কলি

সূচিপত্র