নিত্যকর্ম

image of daily life
দিদিমণি উঠলে পরে,
গেলাম আমি-বাগানের ধারে,
ফুলগুলি সব আমরই তরে,
চেয়ে আছে রঙ-বাহারে।
সুবাস নিয়ে মন ভরিয়ে
গেলাম এবার(বাসন নিয়ে) পুকুর পাড়ে।
মাছ-রাঙা ঐ বসে ছিল
চুপটি করে ঘুপটি মেরে,
টুপ করে মাছ ধরে নিয়ে
উড়ে গেল আকাশ-পরে।
সাপ-ব্যাটা ঐ ব্যাঙের পাশে,
বসে ছিল ঘাটের পাশে;
যেই বেরোল কোলা-ব্যাঙ,
ডাকতে ডাকতে ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ ,
ঘাড় মটকে পুরল মুখে,
(আড়াল হয়ে)
খেতে লাগল আপন সুখে।
বাসন মেজে রেখে দিয়ে
(যতসব) খুলে দিলাম-জানালা কপাট,
বিছানা পত্র গুছিয়ে দিয়ে—
এ-পাশ ও-পাশ দিলাম ঝাঁট,
ঘর-দোর মুছে দিয়ে,
আনাজপত্র আনলাম ধুয়ে,
কুটনা কুটে মশলা বেটে
বসিয়ে দিলাম ভাত,
(তারপর) খাওয়া-দাওয়া সেরে,
ঘর-দোর গুছিয়ে দিয়ে
গেলাম বিশ্ব-বিদ্যাতীর্থ প্রাঙ্গণে,
“সুগন্ধি-বাহারী ফুল গুলি সব ফুটবে বলে-
তাকিয়ে আছে আমার পানে”।
“ওদের কাছেই সারাক্ষণ
পড়ে থাকে আমার মন
ওদের পেয়েই ধন্য হই—খুশি হয় আমার জীবন।”
ছুটি হলে পরে-বাজার পত্র সেরে
ফিরে আসি ঘরে,
রান্না-বান্না সেরে বসি
কবিতা লেখার তরে,
ফুল-ফল গাছ-গাছালি,
পাতা-পাখালি
মানুষ জন নিয়েই আমার জীবন,
যারে আমি প্রানাধিক
ভালবেসে ছিলাম,
সে অভিনয়ের শিরোমণি,
জীবন নিয়ে খেলল শুধু,
করল জীবন-মরুভূমি ধূ- ধূ |
সে কখনও বুঝলো না তো,
আমার আছে একটি কুসুম কোমল
দিন-দরিয়া মন।
26

কুসুম কলি

সূচিপত্র

প্রকৃতি-মা
বিয়ে বাড়ির মজা
মুক্তা
সানাই
লক্ষ্মী-পেঁচা
মাছ-রাঙা
সোনা-রোদের দিন
বন-ভোজন
গ্রামের-শারদীয়া মেলা
বিয়ের মেনু-কার্ড
বৃষ্টি
খেলা
ডাক
ছবি আঁকা প্রদর্শনী
আমরা গাছের ছোট ছোট ফুল
স্বাধীনতার সুখ
বর্ষা রানী
ভূত
আমার সোনার গাঁ
সারাদিনের শিশু-কর্ম
রাঙা দিদি
নিত্য কর্ম
লোভে-পাপ
শ্রাবন-ধারা
আয়না
শীত (ক)
শীত (খ)
সারদা
রামুর-খেদ
আমি বেঁচা বলছি
উড়ন্ত
খেদের জ্বালা!
মহারানী
সোনার মেয়ে
জীবন-নদী
ভালোবেসে ব্যবহার কোরো
শুভ অন্নপ্রাশন
সেকালের বর্ষা (আমার শৈশব)
ছেলে বেলা
শুভ জম্মদিন
রৌদ্র! ছায়া! বৃষ্টি
রাখী-বন্ধন
গোঁফ-খেজুরে
দুষটু
চিন্তা-বোঝাই
প্রতীক্ষা
আদিশের শুভ অন্নপ্রাশন
ভুঁড়ির গান
দিদিমনি
পেত্নীর ঝি
মৃদু-কড়া
রাজ কুমারী
বোকা তাঁতি
দুটো খাবো
পানের বাটা
আমরা
গন্ধ-রাজ, রজনী -গন্ধা
ঠাম্মির আশীর্বাদ
হিং এর ডাল
চিন্তা মনি
হাতে
হবে জয়!
জ্ঞানী-গুণী! বিজ্ঞানী